আলসার রোগের লক্ষণ কারন ও প্রতিকার গুলো জেনে নিন
যেকোনো বয়সে আলসার হতে পারে। এসিডের আধিক্য, ব্যাকটেরিয়ার সংক্রমণ,আলসার রোগের মূল কারণ। লক্ষণ বুঝে সঠিক সময় চিকিৎসা শুরু করলে সম্পূর্ণ নিরাময় হয় রোগটি। কিন্তু অবহেলা করলে আলসার রোগটি প্রাণঘাতী ও হতে পারে। আলসার রোগটির সাথে আমরা কম বেশি সবাই পরিচিত।
আলসার রোগীরা সাধারণত গ্যাস্ট্রিকের সমস্যা, গ্যাসের ব্যথা, পেটের আলসার, খাদ্যনালীর ঘা,ইত্যাদি সমস্যাগুলো উপস্থাপন করে থাকে।
ভূমিকা
আলসার শব্দের অর্থ ক্ষত। আলসার হচ্ছে পাকস্থলী ও ক্ষুদ্রান্তের স্তরে সৃষ্ট ক্ষত যার কারণে অভ্যন্তরীণ রক্তপাত ও মারাত্মক ইনফেকশন হতে পারে।পাকস্থলীর ভেতরের দেয়ালের স্তরে আলসার হয়। সাধারণত আলসার পেট বা ছোট অন্ত্রের ভিতরের আবরণে পাওয়া যায়।সাধারণত দুই ধরনের আলসার পাওয়া যায় যেমন :অয়েসোফাগাস আলসার এবং খাদ্যনালির আলসার।
দুটি আলসার একেবারে ভিন্ন ভিন্ন কারণে ঘটে থাকে। যদিও অয়েসোফাগাস আনসার এখনো বিরল। এটি খুব একটা দেখা যায় না। এটি অ্যালোগলহল সেবনের কারণে ঘটতে পারে। পাকস্থলীর আলসার সচরাচর প্রায় সব মানুষের মধ্যেই দেখা যায়। বিভিন্ন কারণে খাদ্যনালীতে আলসার দেখা দেয়। যেমন: ধূমপান, ওষুধের সংস্পর্শ, এবং জীবনযাত্রার উল্টা পাল্টা কারণে ঘটে থাকে ।
জেনেটিক ফ্যাক্টর সহ বিভিন্ন কারণে সাথে সংযুক্ত। কারণ এটি সম্পূর্ণভাবে আলসার তীব্রতার ওপর নির্ভর করে।আলসারের সাধারণ লক্ষণ হল মানুষের বুক ও পেটের এর মাঝখানে একটি জলন্ত ব্যথা অনুভব হওয়া। আরেকটি লক্ষণ হল রক্তবমি। পেটের ব্যথার কারণে এন্টাসিড ওষুধ খেয়ে থাকে। তখন এই ব্যথা কিছুটা নিরাময় হয়। তাই দেরি না করে আলসারের যে কোন উপসর্গ শনাক্ত করতে নিম্নের লক্ষণ গুলো জেনে রাখতে হবে।
আলসারের লক্ষণ
বুক জ্বালাপোড়া পেটে ব্যথা যা নাভি থেকে শুরু করে বুক পর্যন্ত ব্যথা করে। এ ব্যথা গুরুতর হতে পারে।ক্ষুধা না থাকা, ওজন কমে যাওয়া, বমি বমি ভা,ব রক্তাক্ত মল, বদহজম,খাবার পর ব্যথা, ক্রমাগত ঢেকুর উঠা, অবসাদ ভাব ঘিরে থাকে, খাওয়ার প্রতি আগ্রহ কমে যাওয়া, মাথা ঘোরা, প্রভৃতি হলো আনসারের লক্ষণ সমূহ। তবে সাধারণত আলসারের প্রাথমিক লক্ষণ হল বুকে জ্বালাপোড়া করা।
আলসার রোগের কারণ সমূহ
নিয়মিত ব্যাথা আসুক ওষুধ খাওয়ার জন্য হয়ে থাকে। বয়স্কদের মধ্যে পেপটিক আলসার বেশি দেখা দেয় কারণ তারা অতিমাত্রায় ব্যথা নাশক ওষুধ সেবন করে।
অন্যান্য ওষুধের কারণে আলসার দেখা দেয় যেমন: কম মাত্রার অ্যাসপ্রিন খেলে ও আলসার হতে পারে।বয়স্কদের মধ্যে পেপটিক আলসার অনেক বেশি দেখা দেয়।
যারা অতিমাত্রায় ধূমপান করে তাদের এই রোগটা হওয়ার প্রবণতা সবচেয়ে বেশি।
বংশগত কারণে এই রোগটি হয়ে থাকে। যাদের বংশে এ রোগে আক্রান্ত যদি কেউ থেকে থাকে। তাহলে এই রোগের সম্ভাবনা হওয়ার ঝুঁকিও থাকে।
হেলিকোবেক্টর পাইলোরি ব্যাকটেরিয়া জীবাণু আলসারের অন্যতম কারণ। এই জীবানু আক্রান্ত ব্যক্তির সংস্পর্শে আসলে আলসার হতে পারে।
নিদ্রাহীনতা, চিন্তা মানসিক চাপ, তেল চর্বিযুক্ত খাবার বেশি খাওয়া হল আলসারের অন্যতম কারণ।
আলসার রোগের প্রতিকারের উপায়
আলসার রোগ জটিল কোন রোগ নয়। ডাক্তারি পরামর্শ মোতাবেক ওষুধ সেবন ও খাদ্যাভাস করলে এই রোগ থেকে সহজেই মুক্তি পাওয়া সম্ভব।এবার আসুন আলসার রোগের প্রতিকার গুলো জেনে নেই।
- ভাজাপোড়া ও মসলাযুক্ত খাবার কম খাওয়া।
- ক্যাফেইন যুক্ত খাবার,অ্যালকোহল ও ধূমপান বর্জন করা।
- অ্যাসপিরিন ও মিথেন আসক ওষুধ খাওয়া বন্ধ করা।
- ভিটামিন এ, সি, যুক্ত ফলগুলো শাকসবজি বেশি পরিমাণে খাওয়ার অভ্যাস করা।
- বেশি বেশি বিশুদ্ধ পানি পান করা। ফাস্টফুড ও কোমল পানীয় এড়িয়ে চলা।
পেপটিক আলসার কেন হয়
সাধারণ জনগণ গ্যাস্ট্রিক বা আলসার বলতে যা বুঝিয়ে থাকে চিকিৎসা বিজ্ঞানের ভাষায় এটি হলো পেপটিক আলসার। খালি পেটে থাকলে আমাদের পেটের অপরিভাগে যে ধরনের ব্যথা অনুভূত হয় তাকে সচরাচর আমরা গ্যাস্ট্রিক বলে থাকি। গ্যাস্টিক অর্থ হল পাকস্থলির পেটের অপরই অংশে এ ধরনের ব্যথা অনুভূত হলে পেপটিক আলসার।
মনে রাখতে হবে পেটের অপরি অংশের সব ব্যথার উৎসই পাকস্থলী নয়। একমাত্র এন্ডোসকপি পরীক্ষার মাধ্যমে আলসার আছে কিনা সেটা নিশ্চিত করা যায় এন্ডোসকপি থেকে প্রাপ্ত নমুনা বা বায়োপসি থেকে বোঝা যায় সেটা ওদের কারণে বা জীবাণু থেকে হয়েছে কিনা। পেপটিক আলসার রোগীদের বাড়তি সতর্কতা অবলম্বন করা প্রয়োজন হয়।
তাদেরকে যেসব তা অবলম্বন করতে হয় তা হল। প্রতিদিন আট থেকে দশ গ্লাস পানি পান করতে হবে। নিয়ম করে হাটাহাটি করতে হবে এবং খাবারের তালিকায় সবজি রাখতে হবে। খাবার অল্প অল্প করে বারবার খেতে হবে। এভাবে প্রতিদিন পাঁচ থেকে ছয় বার খেতে হবে।
খাবার তালিকায় মাছ রাখতে হবে এবং জীবনযাপন করতে হবে একদম চিন্তা মুক্ত। রাতের খাবারে হালকা পাতলা খাবার রাখতে হবে। রাতের খাবার খাওয়ার কমপক্ষে ২ ঘন্টা পর ঘুমাতে যেতে হবে এবং খাবারগুলো বসে খেতে হবে।
দুধ পানে আলসার নিরাময় হয়?
অনেকেই হয়তো অনেক জায়গায় শুনে থাকবেন যে দুধ পানে আলসার নির্মময় হয় কিন্তু এ কথাটা ও তা আমরা এবার জেনে নিব। আলসার রোগের সবচেয়ে কমন কারণ হলো পেপসিন নামক গ্যাস্ট্রিক জুস বা পাচক রসের ভারসাম্যহীনতা। আর এই ভারসাম্যহীনতার জন্য দায়ী হল এইচ পাইলোরি ব্যাকটেরিয়া দ্বারা সৃষ্ট ইনফেকশন।
কিছু খাবার বা পানীয় গ্রহণ করলে আলসার সৃষ্টি করতে পারে। কিন্তু অনেক গবেষণায় এটা বলে যে নির্দিষ্ট কোন খাবার আলসার তৈরি করে না। কিন্তু ক্যাফেইন ও অ্যালকোহল জাতীয় খাবার আলসার জনিত উপসর্গের তীব্রতা বাড়াতে সাহায্য করে।
আলসার রোগীকে দুধ পান করার পরামর্শ দেওয়া হয়। এটি সব সময় সত্যি নয়। কারণ দুধ পান করলে তা হাইড্রোক্লিক এসিড উৎপাদন করে পাকস্থলীকে উদ্দীপ্ত করে এবং আলসার উপসর্গ কে আরো খারাপ করে দেয় তাই দুধ জাতীয় খাবার কে এড়িয়ে চলতে হবে ।
গ্যাস্ট্রিক আলসার ও ডিওডেনাল আলসারের পার্থক্য কি:
ডিওডেনাল ডিউটি না আলসারের ক্ষেত্রে ব্যাথাটা প্রচন্ড হয় যখন ক্ষুধা লাগে ব্যথা তখন প্রচন্ড গতিতে হয়। আর ব্যথাটা এমন হতে পারে যে রোগী সরাসরি আঙ্গুল দিয়ে ব্যথাটা দেখিয়ে দিতে পারে। ডিউডেনাল আলসার সাধারণত এভাবেই হয়। যখনই রোগীর ক্ষুধা লাগবে অনেক বেশি ঠিক তখনই ব্যথাটা অনেক বেশি শুরু হবে।
এন্টাসিড সিরাপ বা ট্যাবলেট, রেনিটিডিন, ওমিপ্রাজল এ ধরনের ওষুধ গুলো খেলে লক্ষণগুলো কমে যাবে। আর পেপটিক আলসার কিন্তু এরকম নয় পেপটিক আলসারের ক্ষেত্রে ঘায়ের মধ্যে কথাটা বেশি হবে যখন খাওয়া দাওয়া করবেন মজার বিষয় হল। গ্যাস্ট্রিক আলসারের রোগীরা কিন্তু বেশি খায় না খেলেই যে তার ব্যথা হয় এমনটিও নয়। গ্যাস্ট্রিক আলসারটি ব্যথা নাশক ওষুধ খেলেই বেশি দেখা দেয় এবং ব্যথারও মাত্রাটা তীব্রতর হয়।
আলসার রোগের চিকিৎসা
আলসার রোগের চিকিৎসা মূলত পেটের চিকিৎসা। সঠিক চিকিৎসা পেলে এই রোগটি নিরাময় হওয়া সম্ভব। এক থেকে দুই মাসের মধ্যে সম্পূর্ণ সেরে যায়। আলসার রোগটি যেহেতু পেপটিক জীবাণু দ্বারা হয়ে থাকে। এজন্য এন্টিবায়োটিক দ্বারা চিকিৎসা করা হয়ে থাকে।
সবার উচিত অপ্রয়োজনে গ্যাস্ট্রিকের ওষুধ না খেয়ে ডাক্তারের পরামর্শ অনুযায়ী ওষুধ সেবন করা। এসিড নিয়ন্ত্রণকারী ওষুধ ব্যবহার করতে হয়। যদি আলসার রোগে লক্ষণগুলো দেখা যায়। তাহলে যত দ্রুত সম্ভব ডাক্তারের পরামর্শ গ্রহণ করা উচিত।
আলসার রোগের ঘরোয়া চিকিৎসা
আলসার রোগটি অনেক জটিল একটি রোগ। তবে ভালো ভাবে চিকিৎসা গ্রহণ করলে রোগটি দ্রুত ভালো হয়ে যায়।আমাদের প্রকৃতিতে এমন কিছু সহজলভ্য উপকরণ রয়েছে। যা হাতের নাগালেই পাওয়া যায়।আমাদের এসব সাধারণ উপকরণ গুলো আলসারের মতো জটিল রোগটি নিরাময় করে।
মেথি: মেথি থেকে খাওয়া ঘন উপাদানে রয়েছে ঘা সারিয়ে তোলার বিশেষ উপাদান। দুই কাপ পানিতে এক চামচ মেথি বীজ সিদ্ধ করে। ঠান্ডা করে তাতে মধু যোগ করে প্রতিদিন দুবেলা করে পান করতে হবে এক সপ্তাহ।
নারিকেল: নারকেলের দুধ ও পানিতে রয়েছে আলসার সৃষ্টিকারী ব্যাকটেরিয়া ধ্বংস করার মতো উপাদান।প্রতিদিন নারকেলের পানি পান করতে হবে এবং বেশি উপকারের জন্য কঠিন নারকেল এর শাসক হওয়া যেতে পারে।
বাঁধাকপি: বাঁধাকপি পাকস্থলির আস্তরণে রক্ত প্রবাহ সচল রাখে পাকস্থলীর আস্তরণ শক্তিশালী করে।এছাড়া বাঁধাকপি তে থাকা ভিটামিন সি, এইচ ফাইলরি ব্যাকটেরিয়াকে ধ্বংস করে।রাতের খাবার খাওয়ার আগে বাঁধাকপির শরবত অথবা কাঁচা বাঁধাকপি সালাদ করে চিবিয়ে খেতে হবে।
রসুন: আলসারের জীবাণু হেলিকোব্যাক্টর পাইলরির সঙ্গে লড়াই করতে সহায়তা করে এই রসুন। রসুনে থাকা রাসায়নিক উপাদান আলসার হতে বাধা দেয়। এবং দ্রুত নিরাময়ে কাজ করে। তাই দৈনন্দিন খাবারে তালিকায় রসুন রাখতে হবে।
হলুদ: হলুদের থাকা কারকিউমিন নামক একটি যৌগ আন্টিইনফ্লেমেটরি এবং অ্যান্টিঅক্সিডেন্ট সমৃদ্ধ। এই উপাদানটি আলসার সৃষ্টিকারী ব্যাকটেরিয়াকে বাড়তে দেয় না তাতে এটি রক্তনালীর কার্যকারিতা পরে এবং হৃদরোগের ঝুঁকিও কমায়। এক গ্লাস কুসুম গরম পানিতে এক চামচ হলুদ মিশিয়ে দুই থেকে তিনবার পান করতে হবে।
কলা: কলাপাকা ও কাঁচা দুই অবস্থাতেই খাওয়া যাবে।পাকা এবং কাঁচা উভয় কলাতে রয়েছে প্রচুর ব্যাকটেরিয়া বিরোধী উপাদান যা আলসারের জন্য দায়ী এইচ পাইলোরি ব্যাকটেরিয়ার সংক্রমণ রোধ করে। তাই আলসারে ভুগলে এক সপ্তাহ ধরে দুই থেকে তিনটি করে কলা খেতে হবে ।
ফুলকপি: ফুলকপিতে রয়েছে সালফোরাফেন নামক উপাদান। এই উপাদানটি আলসারের ব্যাকটেরিয়ার বিরুদ্ধে লড়াই করে থাকে। একটি গবেষণায় দেখা গেছে প্রতিদিন দুবার করে সাত দিন। যদি আলসারের রোগী ফুলকপি খায়। তাহলে আনসারের ঝুঁকি ৭৮% কমে যায়।
আপেল: প্রতিদিন একটি করে আপেল খেলে আলসার রোগ দ্রুত নিরাময় হয়। আপেলে এমন সব উপাদান রয়েছে যা আলসার এর ব্যাকটেরিয়াকে প্রতিরোধ করে।
স্ট্রবেরি: আলসারের বিরুদ্ধে ঢাল হিসেবে কাজ করে এই স্ট্রবেরি। স্ট্রবেরিতে রয়েছে অতি উচ্চমাত্রার অ্যান্টিঅক্সিডেন্ট যা দেহকে আলসার থেকে প্রতিরোধ করে। তাই প্রতিদিন এক কাপ করে স্ট্রবেরি খেলে আনসারের ঘা সেরে যায়।
মধু : মধু পাকস্থলীর প্রদাহকে কমানোর জন্য একটি ভালো উপাদান। তাই সকালের নাস্তায় মধু খেতে হবে।
ভিটামিন ই সমৃদ্ধ খাবার : ভিটামিন ই সমৃদ্ধ খাবার হল ঘরোয়া প্রতিকারের মধ্যে আলসার রোগীর সবচেয়ে ভাল একটি খাবার। আলসার রোগীদের ভিটামিন ই সমৃদ্ধ খাবার গ্রহণ করতে হবে।
গ্রিন টি : আলসার রোগীদের জন্য গ্রিন টি খুবই উপকারী একটি পানীয়।আলসার রোগীদের জন্য প্রতিদিন দুবার করে গ্রিন টি পান করতে হবে।
অ্যালোভেরার রস : অ্যালোভেরার কাথ বের করে জুস জোশ বানিয়ে পান করতে হবে। প্রতিদিন এক থেকে দুইবার এই জুস পান করতে হবে ।
গোল মরিচ : এক গ্লাস কুসুম গরম পানিতে আধা চামচ গোল মরিচের গুড়ো মিশিয়ে পান করতে হবে।
করলা রস : করলা ভালোভাবে ধুয়ে ছোট ছোট টুকরা করে। এরপর ব্লেন্ডারের সাহায্যে ব্লেন্ড করে রস বের করে। এটিতে লেবু রস যোগ করে জুস বানিয়ে। প্রতিদিন দুবার করে পান করতে হবে।
মৌরি চা : একটি প্যানে পানি ফুটিয়ে মৌরি দিয়ে ভালোভাবে ফুটিয়ে নিয়ে ছেকে। তারপরে হালকা কুসুম গরম অবস্থায় পান করতে হবে।
আদা : একটি পাত্রে এক কাপ পানি এবং পরিমাণ মতো আদা কুচি দিয়ে ভালোভাবে ফুটিয়ে নিয়ে।কুসুম গরম অবস্থায় মধু মিশিয়ে প্রতিদিন দুই থেকে তিনবার পান করতে হবে। এতে আলসার কিছুটা নিরাময় হয়।
আলসারের সমস্যা প্রতিরোধে ঝাল, তেল চর্বি, মসলা ও ভাজাপড়া জাতীয় খাবার থেকে এড়িয়ে চলতে হবে। এর পাশাপাশি বাদ দিতে হবে ধূমপান ও মদ্যপান। জীবন যাত্রার মান পরিবর্তন করতে হবে। অনেকক্ষণ না খেয়ে থাকা যাবে না। পর্যাপ্ত পরিমাণ ঘুমাতে হবে। খাদ্য তালিকায় যুক্ত করতে হবে স্বাস্থ্যকর।
অস্বাস্থ্যকর সব খাবার বাদ দিতে হবে। ঘরে তৈরি তাজা খাবার খেতে হবে। এবং সব সময় মানসিক চিন্তা মুক্ত থাকতে হবে।আলসারের লক্ষণ, কারণ ও ঘরোয়া প্রতিকার গুলো জানার পর এটি প্রতিরোধ করার জন্য ঘরোয়া চিকিৎসা ব্যবহার করব।যদি আলসারের সমস্যা সাধারণ থেকে গুরুতর হয় তাহলে দ্রুত একজন বিশেষজ্ঞ ডাক্তারের শরণাপন্ন হব এবং পরামর্শ অনুযায়ী চিকিৎসা গ্রহণ করব।
শেষ কথা
আশা করি আজকের এই পোস্টটি পড়ে আপনাদের একটু হলেও উপকারে আসছে এই ধরনের আরো পোস্ট পড়তে চাইলে আমাদের ওয়েবসাইটটি ভিজিট করুন। এতক্ষণ সাথে থাকার জন্য ধন্যবাদ। আজ এই পর্যন্তই ভালো থাকবেন আল্লাহ হাফেজ।
অর্ডিনারি আইটির নীতিমালা মেনে কমেন্ট করুন। প্রতিটি কমেন্ট রিভিউ করা হয়।
comment url