ড্রাগন ফলের উপকারিতা ও অপকারিতা সম্পর্কে বিস্তারিত জেনে নিন
প্রিয় পাঠক আজকে আমি আপনাদের জানাতে চলেছি ড্রাগন ফলের উপকারিতা এবং অপকারিতা সম্পর্কে। ড্রাগন ফল একটি বিদেশি ফল। বর্তমান সময়ে ড্রাগন ফলটি বেশ জনপ্রিয় খাদ্য হিসেবে পরিচিত লাভ করেছে।
ড্রাগন ফলটি এক ধরনের ক্যাকটাস জাতীয় ফল।ড্রাগন ফলে রয়েছে ভিটামিন খনিজ ও অ্যান্টিঅক্সিডেন্টে ভরপুর। আসুন এবার আমরা জেনে নেই ড্রাগন ফলের উপকারিতা ও অপকারিতার পুষ্টিগুণ সম্পর্কে।
ড্রাগন ফল পরিচিতি
ড্রাগন ফলের উদ্ভিদাত্ত্বিক নাম হল হায়লোসেরিয়াস আ্যানডেটাস।এটি পিতায়য়া নামেও পরিচিত। ড্রাগন ফলের গাছটি দেখতে একদম ক্যাকটাস গাছের মতন। ড্রাগন ফলের আদি নিবাস হলো মেক্সিকো ও দক্ষিণ মধ্য আমেরিকায়।ড্রাগন ফলের উৎপত্তিস্থল সেন্ট্রাল আমেরিকায়। ড্রাগন ফল ভিয়েতনামের জাতীয় ফল।
ভিয়েতনামে ড্রাগন ফলটি সর্বাধিক বাণিজ্যিকভাবে চাষ করা হয়ে থাকে। ড্রাগন ফলটি বিভিন্ন রঙের হয়ে থাকে। তবে বাংলাদেশে লাল এবং সাদা এই ধরনের ড্রাগন ফল ই দেখতে পাওয়া যায় । ড্রাগন ফলের উপকারিতা এবং অপকারিতা দুই দিকে রয়েছে। লাল ড্রাগন ফলের যেমন উপকারী দিক রয়েছে ঠিক তেমনি ও সাদা ড্রাগন ফলের উপকারী দিক রয়েছে।
ড্রাগন ফলের উপকারিতা
ড্রাগন ফলটিতে রয়েছে ফেনলিক এসিড এবং বেটা সাইন এর মতো অ্যান্টিঅক্সিডেন্ট। তবে ড্রাগন ফলে সাধারণত ক্যালরির মাত্রা অনেকটাই কম থাকে। ড্রাগন ফলের স্বাদ মিষ্টি। এবার জেনে নেব ড্রাগন ফলের উপকারিতা।
১.রোগ প্রতিরোধ ক্ষমতা বৃদ্ধি : ড্রাগন ফলে প্রচুর পরিমাণে ভিটামিন সি থাকায় এটি রোগ প্রতিরোধ ক্ষমতা বৃদ্ধি করে এবং এতে আছে অ্যান্টিঅক্সিডেন্ট যা ক্ষতি কর রেডিকেলস রক্ষা করে।
২.দৃষ্টি শক্তি উন্নত করে: ড্রাগন ফলে রয়েছে বিটা ক্যারোটিন এবং ভিটামিন এ।ফলে দৃষ্টি শক্তি উন্নত করে এবং রাতকানা রোগ প্রতিরোধ করতে সাহায্য করে।
৩.ক্যান্সার রোগ প্রতিরোধ করে: ড্রাগন ফলের লাইকোপেন নামে নামক যে উপাদান রয়েছে সেটির কারণে প্রোটেস্ট ক্যান্সার প্রতিরোধ করতে সাহায্য করে। ড্রাগন ফলের অ্যান্টিঅক্সিডেন্ট ক্যান্সারের ঝুঁকি কমাতে সাহায্য করে।
৪.ওজন কমাতে সাহায্য করে: ড্রাগন ফলে যেহেতু ক্যালোরি কম থাকে এবং ফাইবার বেশি থাকে । এই জন্য ওজন কমাতে সাহায্য করে।
৫.হৃদপিন্ডের জন্য উপকারী: ড্রাগন ফলে থাকা মনোসেচুরেটেড ফ্যাটি অ্যাসিড এবং পলিআনসেচুরেটেড ফ্যাটি এসিড হৃদপিন্ডের জন্য বেশ উপকারী।
৬.ডায়াবেটিস নিয়ন্ত্রণে সাহায্য করে: ডায়াবেটিস রোগীদের জন্য ড্রাগন ফল বেশ উপকারী একটি ফল। কারণ মনে থাকা ফাইবার রক্তে সরকারের মাত্রা নিয়ন্ত্রণ রাখতে সহায়তা করে।
৭.রক্তচাপ নিয়ন্ত্রণে ভূমিকা রাখে: ড্রাগন ফলে থাকা পটাশিয়াম রক্তচাপ নিয়ন্ত্রণ করতে সাহায্য করে।
৮.হাড় ও দাঁতের জন্য উপকারী: ড্রাগন ফলে রয়েছে ক্যালসিয়াম এবং ম্যাগনেসিয়াম। যা হাড়ও দাঁতের জন্য অত্যন্ত ভালো এই ম্যাগনেসিয়াম এবং ক্যালসিয়াম থাকার কারণে হাড়ের ঘনত্ব বৃদ্ধি করে।
৯.চুলের জন্য উপকারী: ড্রাগন ফল চুলের জন্য অত্যন্ত ভালো। এই ফলটি খাওয়ার মাধ্যমে চুল সুস্থ থাকে এবং চুল পড়া বন্ধ করে।
১০.কিডনিকে সুস্থ রাখে: ড্রাগন ফলের মধ্যে যে পটাশিয়াম রয়েছে তা মানব দেহের কিডনিকে সুস্থ রাখে। এছাড়াও কিডনিতে পাথর হলে ড্রাগন ফল খাওয়াটা বেশি উপকারী। তাই কিডনিকে সুস্থ রাখতে হলে নিয়মিত ড্রাগন ফল খেতে হবে।
১১.শিশুদের সুস্থ রাখতে ড্রাগন ফল: শিশুদের রোগ প্রতিরোধ ক্ষমতা বাড়াতে এই ড্রাগন ফলের ব্যাপক চাহিদা রয়েছে। অ্যান্টিঅক্সিডেন্ট, ভিটামিন,আয়রন,খনিজ, ফাইবার, মিনারেল, প্রোটিন, পাওয়া যায় এই ড্রাগন ফলে। যা শিশুদের বেড়ে উঠতে সাহায্য করে এবং হৃদপিণ্ড ও হাড় গঠনে সাহায্য করে।
১২.ত্বক সুন্দর রাখতে: ডাগন ফলটির সুন্দর রাখার জন্য ব্যাপক অবদান রয়েছে কারণ ড্রাগন ফলে রয়েছে ভিটামিন সি ও অ্যান্টিঅক্সিডেন্ট যা ত্বক উজ্জ্বল করে এবং ত্বক সুন্দর করে।নিয়মিত ড্রাগন ফল খেলে ত্বক হয় টানটান এবং উজ্জ্বল।
১৩.কোষ্ঠকাঠিন্য প্রতিরোধ: ড্রাগন ফলে প্রায় ৭ গ্রাম ফাইবার থাকে। যাদের কোষ্ঠকাঠিন্যের প্রবণতা রয়েছে তারা এই ফল খেলে অনেকটাই উপকার পাবেন।
১৪.বয়সের ছাপ দূর করে: ড্রাগন ফল নিয়মিত খেলে ত্বক সুন্দর হয়। ত্বকের উজ্জ্বলতা বৃদ্ধি পায় এবং ত্বককে করে তুলে আকর্ষণীয়।তাই যারা নিয়মিত ড্রাগন ফল খায় তাদের বয়সের তুলনায় অনেকটা ছোট দেখায় ফলে রয়েছেন অ্যান্টিঅক্সিডেন্ট উপাদান যার কারণে বয়স বৃদ্ধি হলেও ত্বক কুচকে যায় না।
ড্রাগন ফলের অপকারিতা
আমাদের জন্য ড্রাগন ফল যেমন উপকারী ঠিক তেমনি এই ফলের ক্ষতিকর কিছু দিক রয়েছে।আসুন এবার জেনে নেওয়া যাক ডাগন ফলের কিছু অপকারী দিক।
এলার্জি সমস্যা: যাদের প্রচুর পরিমাণে এলার্জি সমস্যা রয়েছে তাদের জন্য ড্রাগন ফল এড়িয়ে চলাই ভালো হয়। এতে ড্রাগন ফল খেলে অতিরিক্ত চুলকানি হতে পারে এবং শরীরের বিভিন্ন অংশ ফুলে যেতে পারে তাই এলার্জি সমস্যা যাদের রয়েছে তাদের ড্রাগন ফল না খাওয়াটাই বেশ ভালো।
ডায়রিয়ার সমস্যা: ড্রাগন ফল খেলে অনেক সময় ডায়রিয়া হতে পারে।
গর্ভাবস্থায় ড্রাগন ফলের উপকারী
গর্ভকালীন অবস্থায় মায়েদের জন্য ড্রাগন ফল অত্যন্ত উপকারী। ড্রাগন ফলে যে পুষ্টিগুণ রয়েছে তা গর্ভবতী মা এবং গর্ভে থাকা শিশু দুজনেরই স্বাস্থ্য ভালো রাখে।
মানসিক চাপ কমায়: গর্ভকালীন অবস্থায় মায়েরা অনেক সময় মানসিক সমস্যায় ভোগে থাকেন । তাই গর্ভকালীন সময়ে ড্রাগন ফল খাওয়ার মাধ্যমে গর্ভবতী মায়েদের মানসিক সমস্যার চাপ থেকে মুক্ত থাকে।
হার্টের ঝুঁকি কমায়: ড্রাগন ফলে রয়েছে ওমেগা৩ ওমেগা৯ এবং ফ্যাটি এসিড সমৃদ্ধ পুষ্টি উপাদান । গর্ভকালীন সময়ে ড্রাগন ফল খেলে হার্টের স্বাস্থ্য ভালো থাকে। কারণ মেগা থ্রি এবং ওমেগা ৯ গর্ভকালিন সময় হার্টের অবস্থা ভালো রাখার জন্য ব্যাপক ভূমিকা পালন করে।
রক্তস্বল্পতা দূর করে: গর্ভবতী মায়েরা অনেক সময় রক্তস্বল্পতায় ভুগে থাকেন। গর্ভবতী মায়েরা যদি নিয়ম করে প্রতিদিন ড্রাগন ফল খায়। তাহলে এই রক্ত সল্পতার সমস্যা দূর হবে। কারণ ড্রাগন ফলে রয়েছে আয়রন লোহিত রক্তকণিকা বৃদ্ধি করার মতো পুষ্টিগুণ।
ক্যালসিয়ামের ঘাটতি পূরণ: গর্ভকালীন সময়ে ক্যালসিয়ামের অভাব কমবেশি হয়ে থাকে । ড্রাগন ফলে যে ক্যালসিয়াম এবং ম্যাগনেসিয়াম রয়েছে তা গর্ভবতীদের হাড়এবং পেশি মজবুত করে এবং গর্ভের শিশুর হাড় ও পেশি মজবুত করে।
হজমে সাহায্য করে: ড্রাগন ফলে রয়েছে পর্যাপ্ত পরিমাণ আশ। গর্ভবতী মায়েদের হজমের সমস্যা এবং কোষ্ঠকাঠিন্য লেগেই থাকে। তাই গর্ভবতী মায়েদের ড্রাগন ফল খেলে হজম ভালো হয় এবং কোষ্ঠকাঠিন্যতা দূর হয়।
বাচ্চাদের ড্রাগন ফল খাওয়ার উপকারিতা
ড্রাগন ফলে বিভিন্ন ধরনের ভিটামিন,ক্যালসিয়াম এবং প্রয়োজনীয় পুষ্টিগুণ দ্বারা ভরপুর। ভিটামিন এ ভিটামিন বিটামিন সি ও আয়রনে পরিপূর্ণ ভরপুর ড্রাগন ফল বাচ্চাদের খাওয়ালে বাচ্চাদের রক্ত চলাচল অনেক বৃদ্ধি করে যদিও শিশুদের ড্রাগন ফল খাওয়ানোর জন্য এক বছর অপেক্ষা করতে হয়। কিন্তু কিছু মা তাদের শিশুদের ছয় মাস বয়স থেকে ড্রাগন ফল খাওয়ায়। তবে এলার্জি সমস্যা না হলে ড্রাগন ফল খাওয়ানো যায়।
আয়রনের ভালো উৎস: ড্রাগন ফলটি লোহ এবং আয়রনের সমৃদ্ধ একটি ফল।তাই এই ফলটি শিশুদের খাওয়ানো হলে তাদের লোহিত রক্তকণিকার গণনা বাড়াতে দুর্দান্ত সাহায্য করে এবং রক্তস্বল্পতা জনিত সমস্যা দূর করে।
অ্যান্টিঅক্সিডেন্ট: ড্রাগন ফল অ্যান্টিঅক্সিডেন্ট সম্পূর্ণ একটি ফল।শিশুর কোষ গুলোকে সুরক্ষা দেয় এবং রোগ প্রতিরোধ ক্ষমতা বাড়ায় এবং রোগের ঝুঁকি অনেকটা কমিয়ে দেয়।
ফাইবার যুক্ত আঁশ: শিশুদের স্বাস্থ্যকর ওজন বাড়াতে এবং স্থূলতা এড়াতে সাহায্য করে এই ফাইবার যুক্ত ড্রাগন ফল।
লাল ড্রাগন ফলের উপকারিতা
বিদেশি এই ড্রাগন ফলটির চাষ এখন আমাদের বাংলাদেশেই হচ্ছে।ড্রাগন ফলের চাষ বাংলাদেশের প্রায় অঞ্চলে দেখা যাচ্ছে। ড্রাগন ফল দু ধরনের হয়।একটি হয় সাদা এবং আরেকটি হয় লাল। লাল ড্রাগন ফলটি দেখতে যেমন লোভনীয় খেতেও ঠিক তেমনি সুস্বাদু। আমরা লাল ড্রাগন ফলের উপকারিতা গুলো আলোচনা করব।
- প্রতি লাল ড্রাগন ফলে রয়েছে ৫০ থেকে ৬০ গ্রাম ক্যালোরি, ৯ থেকে ১৪ গ্রাম কার্বোহাইড্রেট, ১ থেকে ২ গ্রাম ডাইরেটরি ফাইবার,৮ থেকে ১২ গ্রাম চিনি, ১ থেকে ২ গ্রাম প্রোটিন, ১ গ্রামের কম চর্বি ।
- লাল ড্রাগন ফলের ছোট কালো বীজে রয়েছে ওমেগা৩, ওমেগা ৯ ফ্যাটি অ্যাসিড । যা হার্টের জন্য উপকারী।
- লাল ড্রাগন ফলে রয়েছে প্রচুর পরিমাণ খনিজ উপাদান। বিশেষ করে হাড়ের জন্য দরকারি পটাশিয়াম এবং ক্যালসিয়ামের ভালো একটি উৎস এই লাল ড্রাগন ফল।
সাদা ড্রাগন ফলের উপকারিতা
প্রতি ১০০ গ্রাম সাদা ড্রাগন ফলে রয়েছে প্রায় ৬০ গ্রাম ক্যালোরি, ৯ থেকে ১৪ গ্রাম কার্বোহাইড্রেট, ৮ থেকে ১০ গ্রাম চিনি, ১ থেকে ২ গ্রাম ডাইয়েটরি ফাইবার,এক গ্রামের কম চর্বি।
ড্রাগন ফলের খোসার উপকারিতা
ড্রাগন ফলের উপকারিতা ও অপকারিতা যেমন রয়েছে। ঠিক তেমন এই ড্রাগন ফলের খোসার উপকারিতা রয়েছে। ড্রাগন ফলের খোসা ত্বকে ব্যবহার করলে ত্বকের অনেক উপকার হয়। ড্রাগন ফলের খোসাগুলো কেটে পানি দিয়ে ফুটিয়ে নিতে হবে এবং এই ফোটানো পানি ঠান্ডা করে। জুস করে নিতে হবে এবং জুসের সাথে সামান্য লেবু মিশিয়ে খেলে ওজন কমে যাবে এবং শরীরের বিভিন্ন সমস্যা সেরে যাবে।
ড্রাগন ফল দিয়ে রূপচর্চা
ত্বক হাইড্রেট রাখতে ড্রাগন ফলের জুরি নেই। ড্রাগন ফলের কাথ এক চামচ এবং টক দই এক চামচ মিশিয়ে নিবো এবং ত্বকে লাগিয়ে নিব। এটি ত্বকে লাগিয়ে ১৫ থেকে ২০ মিনিট অপেক্ষা করতে হবে। এরপর ঠান্ডা পানি দিয়ে ধুয়ে ফেলতে হবে।
ড্রাগন ফল খাওয়ার সঠিক সময়
ফলের সরল শর্করা ভালোভাবে শোষণ হওয়ার জন্য যথেষ্ট সময়ের দরকার হয়।ভোর বেলায় অভুক্ত অবস্থায় অথবা দুটি আহারের মধ্যবর্তী সময় হলো ড্রাগন ফল খাওয়ার উপযুক্ত সময়। এই উভয় অবস্থা বিভিন্ন প্রকার এনজাইম খাদ্য পরিপাক কে দ্রুত কাজ করে। ফলের সব পুষ্টি উপাদান আশঁ ও সরল চিনি দেহে সহজে পরিপাক হয় এবং ফল থেকে পাওয়া উপকারিতা সম্পর্কে নিশ্চিত হওয়া যায়।খাবার খাওয়ার ঠিক পরেই ফল খাওয়া ঠিক না।
টবে ড্রাগন ফল চাষ পদ্ধতি
টবে আমরা ড্রাগন ফল চাষ করতে পারি। ড্রাগনের চারা লাগানোর পূর্বে টপটিকে এবং টবের মাটিকে প্রস্তুত করে নিতে হবে। বেলে দো আঁশ মাটি, টিএসপি সার, গোবর, পটাশ ভালোভাবে মাটির সাথে মিশিয়ে নিতে হবে। এরপর মিশানো মাটি গুলো টবে দিয়ে ভরে দিবো। তারপরে ড্রাগনের চারাটি টবে লাগিয়ে দিব এবং হালকা পানি দিব। গাছের গোড়ায় মাটি দিয়ে উঁচু করে দিতে হবে। যাতে গাছের গোড়ায় বেশি পানি না জমে থাকে।
ড্রাগন ফল খাওয়ার নিয়ম
ড্রাগন ফলটি জুস করেও খাওয়া যায়।জুস করার জন্য প্রথমে খোসা কেটে ব্লেন্ডারে দিয়ে জুস করে নিতে হবে ।সালাদ হিসেবে খাওয়া যেতে পারে। সরাসরি কেটেও খাওয়া যেতে পারে।
ড্রাগন ফল কোন মাসে ধরে
ড্রাগন ফল মূলত গ্রীষ্মকালীন ফল। গ্রীষ্মকালে এই ফলের প্রচুর আমদানি হয়ে থাকে। এপ্রিল মাস মানে ড্রাগন ফলের সমাহারের মাস। এপ্রিল ও মে মাসে ফুল আসে প্রত্যেকটি ড্রাগন ফলের।ফুল আসার ২০ থেকে ২৫ দিনের মধ্যে ফল হয়। অক্টোবর থেকে নভেম্বর পর্যন্ত ফুল ও ফল ধরা অব্যাহত থাকে। প্রতিটি ফলের ওজন ২০০ গ্রাম থেকে ১.৫ কেজি পর্যন্ত হয়। ১২ থেকে ১৮ মাস বয়সী একটি গাছে ৫থেকে ২০ টি ফল পাওয়া যায়।
ড্রাগন ফল কত টাকা কেজি
বর্তমান বাজারে ভালো কোয়ালিটির ড্রাগন ফলের দাম কেজি প্রতি ৪০০ থেকে ৫০০ টাকা। তবে সাধারণ কোয়ালিটির ড্রাগন ফলের দাম কেজি প্রতি হয় ৩০০ থেকে ৩৫০ টাকা।ড্রাগন ফলের দাম স্থানভেদে কমবেশি হতে পারে।
শেষ কথা
আশা করি আমাদের এই আর্টিকেলটি পড়ে ড্রাগন ফলের উপকারিতা ও অপকারিতা সম্পর্কে এবং লাল ড্রাগন ফলের উপকারিতা সম্পর্কে সঠিক তথ্য জানতে পেরেছেন। আমাদের এই আর্টিকেলটি পরে যদি আপনাদের ভালো লাগে তাহলে অবশ্যই শেয়ার করবেন এবং আপনার মতামত জানাবেন।
অর্ডিনারি আইটির নীতিমালা মেনে কমেন্ট করুন। প্রতিটি কমেন্ট রিভিউ করা হয়।
comment url