দাদ রোগের ঘরোয়া চিকিৎসা সম্পর্কে জেনে নিব

দাদ রোগ একটি অতি পরিচিত চর্মরোগ ।দাদ রোগটি ছত্রাক বা ফাঙ্গাল ইনফেকশনের কারণে হয়ে থাকে ।মানুষের শরীরের মাথা থেকে পা পর্যন্ত যে কোন জায়গায় দাদ রোগটি হতে পারে ।অতি দ্রুত সঠিক চিকিৎসা নিলে এই রোগ থেকে মুক্তি পাওয়া সম্ভব ।
ত্বক রোগ বিশেষজ্ঞরা মনে করেন সময়ের সঙ্গে দেহ কোষে এমন জিন ঘটিত পরিবর্তন ঘটিয়ে ফেলেছে এই ছত্রাক যে চালু ওষুধ গুলো তো বটেই সমগোত্রীয় বেশ কিছু ওষুধও কাজ করে না আর এজন্য বিশেষজ্ঞরা দায়ী করেন পাড়ার দোকান থেকে আমজনতার ওষুধ কেনার বদ অভ্যাসগুলোকে কিন্তু  অনেকেই জানেন না যে, কিছু ঘরোয়া চিকিৎসার উপায় রয়েছে ।এসব ঘরোয়া চিকিৎসার উপায় গুলো দ্বারা দাদ  রোগ নিরাময় হয় ।

দাদ রোগের লক্ষণ

দাদ রোগের প্রধান লক্ষণ বা উপসর্গ হলো ফুসকুড়ি বা র‍্যাশ ।এই র‍্যাশ দেখতে অনেকটা আংটির মতো গোলাকার হয়ে থাকে। এ র‍্যাশ গুলোর রং হয় লালচে রঙের।তবে রোগীদের ত্বক অনুযায়ী এটি রূপালী বর্ণেরও দেখা যায়।আবার আশেপাশের ত্বকের চেয়ে গারো বর্ণ ধারণ করে ।
দাদ রোগে ত্বকের বর্ণ পরিবর্তনের পাশাপাশি ফুসকুড়ি গুলো অপরিভাগে ছোট ছোট মাছের আইশের মতো দেখা দেয় ।এছাড়া আক্রান্ত স্থানে নিচের লক্ষণ গুলো দেখা দেয় ।


ত্বক কিছুটা খসখসে বা শুকনো হয়ে যায় ।আক্রান্ত স্থানটি ফুলে ওঠে ।আক্রান্ত স্থানটি অনেক চুলকায় ।আক্রান্ত ত্বকের উপরের  চুল অথবা লোম থাকলে সেগুলো পড়ে যায় ।

শরীরের যেসব স্থানে দাদ রোগ হয়

মানুষের শরীরে যে কোন অংশে দাদ রোগটি দেখা দিতে পারে যেমন মাথার ত্বক, হাত, পা ,পায়ের পাতা এমন কি হাত পায়ের নখ ও হতে পারে ।দাদ রোগ আক্রান্ত স্থান ভেদে দাদ রোগের লক্ষণের ভিন্নতা আসতে পারে যেমন র‍্যাশ আকারে ভিন্নতা থাকতে পারে তাদের র‍্যাশ আস্তে আস্তে বড় হয়ে ছড়িয়ে পড়ে ।আবার কখনো কখনো একাধিক র‍্যাশ বা ফুসকুড়ি দেখা দেয় ।


শরীরের বেশ কিছু স্থানে দাদ রোগ সম্পর্কে প্রয়োজনীয় তথ্য তুলে ধরা হলো

মাথার ত্বক
মাথার ত্বকে দাদ রোগ দেখা দিলে সাধারণত আক্রান্ত অংশে চুল পড়ে যায় এবং চুল পড়ে যাওয়ার পর মাথায় টাক সৃষ্টি হয় এবং টাক পড়া স্থানে লালচে গোলাকার ও ছোট ছোট ফুসকুড়ি তৈরি হয়। এতে চুলকানি হয় ।ইনফেকশন ছড়িয়ে পড়লে টাক পড়া অংশের পরিমাণ আরো বাড়তে থাকে এবং মাথার ত্বকের দাদ রোগের একাধিক ফুসকুড়ি তৈরি হতে পারে।মাথা ত্বকে দাদ রোগ বেশিভাগ বয়স্কদের তুলনায় শিশুদের মধ্যে দেখা যায়।

পা ও পায়ের আঙ্গুলের ফাঁকে
এক্ষেত্রে আক্রান্ত স্থানটি লাল হয়ে ফুলে ওঠে এবং সেখান থেকে চামড়া উঠে যায়। সেইসাথে পায়ের আঙ্গুল গুলোর ফাঁকে চুলকানি হয়। বিশেষ করে পায়ের সবচেয়ে ছোট আঙ্গুল দুটির মাঝখানে চুলকানি বেশি হয়ে থাকে ।পায়ে দাদ রোগ হলে পায়ের পাতা ও গোড়ালি আক্রান্ত হয় ।
কুঁচকি
কুঁচকিতে দাদ রোগ হলে সেটি সাধারণত উড়ুর ভেতরের দিকের ভাজে লাল লাল ফুসকুড়ি হিসাবে দেখা দেযচ।এই ফুসকুড়ি গুলো মাছের আইশ এর মত হয় ।
দাড়ি
গলা,চিবুক ও গলার উপরের অংশে এ ধরনের দাদ রোগ দেখা যায় ।এটি লাল লাল ফুসকুড়ি হিসেবে দেখা যায় এবং অনেক চুলকানি হয়। দাড়িতে দাদ রোগ হলে অনেক সময় ফুসকরীর ওপরে চলটা পড়ে আর ভেতরে প্রচুর ছত্রাক জমতে পারে একই সাথে আক্রান্ত অংশের চুল পড়ে যায়।

দাদ রোগ যেভাবে ছড়ায়

দাদ রোগ একটি সংক্রামক বা ছোঁয়াচে রোগ ।এটি ট্রাইকোফাইটন,মাইক্রোসপোরাম,ওএপি ডারমোফাইটন প্রকারের ফাঙ্গাস জাতীয় জীবাণু এই রোগটি ছড়ায়। দাদ রোগটি মূলত তিনভাবে ছড়ায়
সংক্রামক ব্যক্তি কিংবা তার ব্যবহার করা জিনিসের সংস্পর্শ থেকে যেমন চিরুনি তোয়ালে ও বিছানার চাদর ।দাদ রোগ আক্রান্ত প্রাণী সংস্পর্শ থেকে যেমন কুকুর,বিড়াল,গরু,ছাগল ইত্যাদি ।দাদ রোগের জীবাণু আছে এমন পরিবেশ বিশেষ করে স্থান থেকে।


দাদ রোগের চিকিৎসা

দাদ রোগের চিকিৎসায় এন্টিফাঙ্গাল ওষুধ ব্যবহার করা হয়। চিকিৎসা নির্ভর করে শরীরের কোন স্থানে ইনফেকশন হয়েছে কিনা তার ওপর নির্ভর করে। ওষুধ ব্যবহারের পাশাপাশি নিজের শরীরের কোন স্থানে কিংবা বাড়ি সদস্যদের মধ্যে দাদ রোগ আছে কিনা সেটা দেখে নিতে হবে ।দাদ রোগের চিকিৎসায় ব্যবহার করা ওষুধগুলো বিভিন্ন রূপে পাওয়া যায় যেমন ক্রিম,লোশন,স্প্রে,পাউডার, ট্যাবলেট

শরীরের ত্বকে দাদ রোগ হলে সাধারণত মুখে খাওয়ার ওষুধ না দিয়ে ক্রিম বা জেল দিয়ে থাকে অথবা পাউডার হিসেবে সরাসরি ত্বকে লাগানোর পরামর্শ দেয়। দাদ রোগের ওষুধ গুলো সাধারণত দুই থেকে চার সপ্তাহ একটানা ব্যবহার করতে হয় ।দাদ রোগে ডাক্তারি ওষুধ খেলে দ্রুত সেরে যায়।তবে কিছু ঘরোয়া চিকিৎসা রয়েছে ।যা ভালোভাবে নিলে দাদ রোগ থেকে দ্রুত নিরাময় হওয়া যায় ।

দাদ রোগের ঘরোয়া চিকিৎসা


পরিচিত চর্মরোগ গুলোর মধ্যে অন্যতম হলো এই দাদ রোগটি ।দাদ রোগ নিরাময় করার জন্য ঘরোয়া কিছু চিকিৎসা রয়েছে নিম্নে ঘরোয়া কিছু চিকিৎসা সম্পর্কে আলোচনা করা হবে।

মধুঃদাদ রোগ দূর করার জন্য একটি অন্যতম ঘরোয়া উপায় হল নতম। এই সমস্যা দূর করার জন্য মধু কার্যকরী একটি উপাদান।মধুতে রয়েছে হাইড্রোজেন পারঅক্সাইড ও ছত্রাকনাশক উপাদান। যা ছত্রাকের বৃদ্ধি ঠেকাতে দ্রুত কাজ করে।পরিষ্কার তুলায় মধু লাগিয়ে দাদ রোগ আক্রান্ত স্থানে ব্যবহার করতে হবে। নিয়মিত ব্যবহার করলে দাদ রোগটি দ্রুত মুক্তি মিলবে।

এলোভেরাঃএলোভেরার উপকারিতা সম্পর্কে আমরা সবাই কমবেশি জানি ।এটি আমাদের ত্বক ও চুলের জন্য বেশ উপকারী। অ্যালোভেরা তে রয়েছে রেজিন নামক একটি উপাদান। এই উপাদান ছত্রাকের সংক্রমণ ঠেকাতে ভীষণ কার্যকরী। দাদ রোগের সমস্যা দূর করতে এলোভেরা দারুন কাজ করে। এটি দাদ রোগের কারণে সৃষ্ট যে চুলকানি বা যন্ত্রণা হয় সেটি কমাতে সাহায্য করে ।ব্যবহার করার জন্য এলোভেরার পাতা থেকে জেল বের করে আক্রান্ত স্থানে লাগাতে হবে ।

রসুনঃদাদ রোগের কারণে যে ছত্রাকের সৃষ্টি হয় তা দূর করার জন্য রসুন অন্যতম ।১ থেকে ২ কোয়া রসুন ভালো করে থেঁতো করে নিতে হবে। এরপর থেতো করা রসুনের সঙ্গে তিন টেবিল চামচ অলিভ অয়েল ও তিন টেবিল চামচ মধু মিশিয়ে আক্রান্ত স্থানে ঘন্টা খানেক লাগিয়ে তারপরে গরম পানি দিয়ে ধুয়ে নিতে হবে ।

তুলসী পাতাঃতুলসী পাতা নানাভাবে আমাদের শরীরে উপকার করে থাকে তুলসী পাতা চুলকানি ও ফুসকুড়ি দূর করে থাকে ।তাই দাদ রোগের ঘরোয়া চিকিৎসা তে তুলসী পাতার রস ব্যবহার করা হয় ।

কাঁচা হলুদঃদাদ রোগের ঘরোয়া চিকিৎসায় সমাধান হিসেবে কাঁচা হলুদের রস বেশি উপকারী। এই রস আক্রান্ত স্থানে ব্যবহার করলে দ্রুত মুক্তি মিলে।হলুদে আছে অ্যান্টিসেপটি ও এটি ফাংগাল নামক উপাদান ।এই দুই উপাদান সংক্রমণ রোধ করতে কাজ করে ।

জয়ফলঃদাদ রোগের ঘরোয়া চিকিৎসায় জয়ফল দারুন উপকারী একটি উপাদান ।দাদ রোগ আক্রান্ত স্থানে জয়ফল গুঁড়া সামান্য পানিতে মিশিয়ে পেস্ট করে লাগাতে হবে ।

টি-ট্রি অয়েলঃটিট্রিঅয়েলের রয়েছে অ্যান্টিফাঙ্গাল ও এন্টি ব্যাকটেরিয়াল উপাদান। এটি ছত্রাক জনিত ত্বকের ইনফেকশন সারাতে দ্রুত কাজ করে। তাই দাদ রোগ আক্রান্ত স্থানে প্রথমে পরিষ্কার তুলে দিয়ে কয়েক ফোটার টিট্রি অয়েল নিয়ে সরাসরি লাগাতে হব।যদি ত্বক সংবেদনশীল হয় তাহলে টিট্রি অয়েলের সঙ্গে নারকেল তেল মিশিয়ে ব্যবহার করতে হবে ।এভাবে দিনে দুই থেকে তিনবার ব্যবহার করলে দাদ রোগ থেকে মুক্তি মিলবে ।

আপেল সিডার ভিনেগারঃআপেল সিডার ভিনেগার দাদ রোগের জন্য বেশ ভালো । দিনে তিন থেকে পাঁচবার পরিষ্কার তুলায় আপেল সিডার ভিনেগার লাগিয়ে আক্রান্ত স্থানে সরাসরি প্রয়োগ করতে হবে। দাদ রোগ ভালো না হওয়া অবধি এটি ব্যবহার করতে হবে ।

দাদ রোগ প্রতিরোধে করণীয়

দাদ রোগে যে কেউ আক্রান্ত হতে পারে ।তবে নির্দিষ্ট কিছু ক্ষেত্রে দাদ রোগ হওয়ার ঝুঁকি বেশি থাকে তাই দাদ রোগের ঝুঁকি কমাতে কিছু বিষয় সম্পর্কে সতর্ক থাকতে হবে ।

  • শরীর অপরিষ্কার রাখা যাবে না অপরিষ্কার রাখলে জীবাণুর জমতে পারে আর অপরিচ্ছন্ন জীবাণু পরিবেশে দাদ রোগের জীবাণু থাকার সম্ভাবনা বেশি হয় ।এজন্য ত্বক সব সময় পরিষ্কার পরিচ্ছন্ন ও শুষ্ক রাখতে হবে। হাত ও পায়ের নখ ছোট করে রাখতে হবে।দিনে অন্তত একবার মোজা ও অন্তর্বাস পরিবর্তন করতে হবে ।
  • খুব আটসার জুতা পরলে অতিরিক্ত ঘাম হয় এতে দাদ রোগের ঝুঁকি বেড়ে যায় তাই ঢিলেঢালা জুতা ব্যবহার করতে হবে ।
  • দাদ রোগের ঝুঁকি সবচাইতে বেশি থাকে স্যাঁতস্যাঁতে পরিবেশে তাই জিম কিংবা পাবলিক গোসল খানার মতো স্থানে খালি পায়ে হাটা থেকে বিরত থাকতে হবে ।
  • পশুপাখি সংস্পর্শে আসলে দাদ রোগ হয় তাই প্রাণী সংস্পর্শে বিশেষ করে পোষা প্রাণীর সাথে মেলামেশার ক্ষেত্রে বিশেষভাবে সতর্ক অবলম্বন করতে হবে ।
  • দাদ রোগে আক্রান্ত ব্যক্তির ব্যবহার করা জিনিস থেকে বিরত থাকতে হবে কারণ তাদের ব্যবহার করা জিনিসপত্রে দাঁত রোগের জীবাণু থেকে যায় ।
  • দাদ রোগে আক্রান্ত ব্যক্তি অথবা প্রাণী সংস্পর্শে এসে থাকলে ত্বকে কোন পরিবর্তন দেখা দিচ্ছে কিনা সেদিকে খেয়াল রাখতে হবে ।

দাদ রোগের জটিলতা

সঠিক চিকিৎসা না করালে দাদ রোগটি সেরে উঠে না বরং শরীরে অন্যান্য স্থানে অনেক ভাবে ছড়িয়ে যায় ।রোগ প্রতিরোধ ক্ষমতা দুর্বল হলে এমনটা ঝুঁকি আরো বেড়ে যায় অনেক সময় দাদ রোগটি সেরে যাওয়ার পরও ত্বকে দাগ থেকে যায়।দাদ রোগে আক্রান্ত স্থানটি চুলকানোর ফলে ত্বকে ফাটল সৃষ্টি হতে পারে এই ফাটল দিয়ে ব্যাকটেরিয়া ঢুকে নতুন ইনফেকশন তৈরি করে। দাদ রোগটি আরো জটিল করে তোলে তখন ত্বকের আক্রান্ত স্থানটি লাল ও গরম হয়ে যায় এবং ব্যথা হয় ও  পুঁজ পড়ে।


দাদ রোগের সর্তকতা

দাদ বা দাউদ রোগ হলে নিচের কাজগুলো থেকে বিরত থাকাটাই হবে বুদ্ধিমানের কাজ।
আক্রান্ত ব্যক্তি থেকে সব সময় দূরে থাকতে হবে। বাথরুম কোমড ব্যবহার করার পর সিট স্যাভলন দিয়ে ধুতে হবে ।রাস্তায় ফেরি করা চুলকানির ঔষধ ব্যবহার করা যাবে না।হোমিওপ্যাথি ওষুধ গ্রহণ করা যাবে না। আক্রান্ত হলে অন্তরঙ্গ মেলামেশা বন্ধ রাখতে হবে। দাদ রোগ আক্রান্ত স্থানে অতিরিক্ত চুলকানো যাবে না হাত দিয়ে ধরলে সাবান দিয়ে অবশ্যই হাত ধুতে হবে ।

কোন সময় দাদ রোগ হয়

দাদ রোগ এমন একটি সংক্রমণ যা হওয়ার নির্দিষ্ট কোন সময় বা মৌসুম নাই।তবে হ্যাঁ যেহেতু দাদ রোগ একটি ছত্রাক জনিত রোগ আর আমরা জানি ছত্রাক ভেজা স্যাঁতসেতে পরিবেশে বিস্তার লাভ করে থাকে ।সেজন্য গবেষণায় দেখা গেছে যে গরমকালের দিকে এই রোগটি ব্যাপক আকারে বিস্তার লাভ করে ।কারণ গরমকালে অধিকাংশ মানুষ ঘেমে যায় এবং মানুষের শরীর ঘর্মাক্ত অবস্থায় থাকে । আর অতিরিক্ত ঘাম ফাঙ্গাস জনিত ছত্রাকের জন্ম দেয় ।

আজকের পুরো পোষ্টের মাধ্যমে আমরা জেনেছি দাদ রোগ কি এবং কেন হয়। দাদ রোগ হলে কি কি করণীয়, দাদ রোগ থেকে কিভাবে মুক্তি পাওয়া যায় এবং দাদ রোগের ঘরোয়া চিকিৎসা সম্পর্কে বিস্তারিত জেনেছি ।এরকম অন্যান্য নতুন সব কন্টেন্ট পেতে চাইলে আমাদের ওয়েবসাইটের সাথেই থাকুন ধন্যবাদ ,ভালো থাকবেন ।

এই পোস্টটি পরিচিতদের সাথে শেয়ার করুন

পূর্বের পোস্ট দেখুন পরবর্তী পোস্ট দেখুন
এই পোস্টে এখনো কেউ মন্তব্য করে নি
মন্তব্য করতে এখানে ক্লিক করুন

অর্ডিনারি আইটির নীতিমালা মেনে কমেন্ট করুন। প্রতিটি কমেন্ট রিভিউ করা হয়।

comment url